ভিআইপি সংস্কৃতি : সংবিধান ও আইন কী বলে

প্রতীকী ছবি

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো ‘ভিআইপি’ নামের অভিজাততন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারেনি। এই ‘ভিআইপি সংস্কৃতি’র বৈধতা দান করেছে কতিপয় আইন, বিধি, প্রজ্ঞাপন ও প্রথা। বর্তমান সমাজ-বাস্তবতায় আইনি সংস্কার করে এগুলো পরিবর্তনের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।

ভিআইপি কে?

ভিআইপি বা ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসন—এই শব্দগুলো প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের আইনে প্রবেশ করে সামরিক শাসকের হাত ধরে। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সামরিক শাসক ও প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ‘প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স-১৯৮৬’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শারীরিক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (পিএসএফ) গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ সালে নির্বাচিত সরকারের আমলে অধ্যাদেশটি সংশোধন করে দ্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্সের ওই আইনের অধীনে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) গঠিত হয়।

দ্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্সের ধারা ৮(১) অনুযায়ী, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক নিরাপত্তা প্রদান করা। ‘ভিভিআইপি’ শব্দটি সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও এ থেকে বোঝা যায়, আইন অনুযায়ী ‘ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসন’ হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য আরও আছে স্বতন্ত্র প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট। এসএসএফ অধ্যাদেশের ধারা ৮(২)-এ বলা হয়েছে, এসএসএফ বাংলাদেশের ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’কেও শারীরিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। কারা এই খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি? একই আইনের ধারা ২(ঘ) এই ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসনের সংজ্ঞা দিয়েছে এভাবে: ভেরি ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসনের অর্থ, রাষ্ট্রপ্রধান বা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সরকারপ্রধান বা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভিআইপি হিসেবে ঘোষিত অন্য যেকোনো ব্যক্তি। মোদ্দাকথা, এই আইনের আওতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি সরকারপ্রধান এবং সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা ভিআইপি ঘোষিত ব্যক্তি এসএসএফের মাধ্যমে শারীরিক নিরাপত্তা লাভ করবেন।

ভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রটোকলের নিমিত্তে বাংলাদেশের প্রশাসন একটি ‘নিরাপত্তা প্রটোকল রেড বুক’ অনুসরণ করে থাকে। রেড বুক অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভিভিআইপি। ভিআইপি হলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র সচিব, সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের প্রধান। মন্ত্রী বলতে পূর্ণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী সবাইকে বোঝায়। বিচারপতি বলতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের বোঝায় আর সচিব বলতে বোঝায় সচিব পদমর্যাদার সবাইকে। তবে সরকার প্রয়োজন অনুয়ায়ী অন্য যে কাউকে ভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে। বিধি অনুযায়ী, ভিআইপিরা সরকারি প্রটোকল, নিরাপত্তা ও আবাসন পেয়ে থাকেন।

২০০৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই কন্যা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধানকল্পে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ প্রণীত হয়। এই আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্সের অধীন ভেরি ইম্পরট্যান্ট পারসনের জন্য যেরূপ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে, সেই রূপ নিরাপত্তা সরকার জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণকে আজীবন সর্বস্থানে প্রদান করবে।’ একই আইনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকে সরকার কর্তৃক নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধাও প্রাপ্য হবেন; অর্থাৎ এই আইনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের ভিআইপি হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরে ভিআইপি

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘ভিভিআইপি লাউঞ্জ’ ও ‘ভিআইপি লাউঞ্জ’-এর ব্যবস্থা সৃষ্টির ক্ষেত্রেও রয়েছে সামরিক শাসকের হাত। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৩ সালের ৬ মার্চ এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে বিমানবন্দরে ভিভিআইপি লাউঞ্জ ও ভিআইপি লাউঞ্জ সৃষ্টি করেন এবং এই লাউঞ্জ ব্যবহারের নির্দেশনা জারি করেন। এই নির্দেশনার এনেক্সার ১ ও এনেক্সার ২-এ বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ ও ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা রয়েছে। প্রথম এনেক্সারে প্রাধিকারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি এবং দ্বিতীয় এনেক্সারে প্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশি ব্যক্তিদের তালিকা আছে। এনেক্সার ১ অনুসারে, বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অধিকারী পাঁচ ক্যাটাগরির ভিভিআইপি ব্যক্তির মধ্যে সবার ওপরে রয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, তারপর যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার। প্রধান বিচারপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি আছেন চতুর্থ অবস্থানে, ক্রমতালিকার পঞ্চম অবস্থানে আছেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী, চিফ হুইপ, সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং সংসদের বিরোধী দলের নেতা।

প্রতীকী ছবি

অন্যদিকে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোট ১৭ ক্যাটাগরির বিভিন্ন পদমর্যাদার ভিআইপি ব্যক্তিদের তালিকা রয়েছে। এই ক্রমতালিকার ১ নম্বরে আছেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী নন, কিন্তু মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আসীন, এমন ব্যক্তি আর ক্রমতালিকার সর্বনিম্ন ১৭ নম্বরে অবস্থান করছেন সরকারের প্রশাসনের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা; অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাউঞ্জ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা ভিআইপি হিসেবে গণ্য হবেন।

সড়কে ভিআইপি

ঢাকা শহরের মানুষ যখন যানজটে অতিষ্ঠ, তখন উল্টো পথে যে গাড়িগুলো যায়, সেগুলোতে থাকেন ভিআইপিরা
ছবি প্রথম আলো

প্রশাসনিক নিরাপত্তা প্রটোকল রেড বুকের বিধি অনুসারে, শুধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় সড়কের এক পাশ খালি করে চলাচলের বিধান আছে। ভিভিআইপিদের চলাচলের ১৫ মিনিট আগে থেকে নির্দিষ্ট সড়কটির এক পাশ ফাঁকা করে সেখানে সাধারণ যান চলাচল বন্ধ রাখার নিয়ম অনুসরণ করা হয়। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানের চলাচলের ক্ষেত্রেও একই রীতি প্রযোজ্য। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুসারে ভিভিআইপি ব্যতীত সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে আর কোনো ব্যক্তি, এমনকি কোনো ভিআইপির জন্যও রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার সুযোগ নেই। ভিআইপিরা চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশি নিরাপত্তা পেতে পারেন, কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সড়ক বন্ধ করে অগ্রাধিকার চলাচল কিংবা সড়ক পরিবহন আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির এখতিয়ার তাঁরা রাখেন না।

ভিআইপি সংস্কৃতি

প্রতীকী ছবি

আইন অনুসারে, ভিআইপির সংজ্ঞা এবং সুবিধার সীমারেখা সুনির্দিষ্ট। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য নিরাপত্তা বা তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট গাড়ি-বাড়ির ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনগণের আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু বর্তমানে আইনি পরিধি ছাপিয়ে ভিআইপির জন্য আইন-নির্ধারিত সুবিধার সীমারেখা অতিক্রম করে ভিআইপি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ভিআইপি সংস্কৃতি বলতে চোখে ভেসে ওঠে এমন এক চিত্র, যেখানে কেউ চাইলেই আইন ও রীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনায়াসে ক্ষমতার প্রদর্শনী করতে পারেন, যিনি রাস্তার উল্টো পথে সদর্পে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারেন, জনগণকে দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে রেখে যাঁর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও আরাম-আয়েশের ব্যবস্থাপনায় পুলিশ, প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়। ভিআইপি সংস্কৃতির শিকড় প্রোথিত হয়ে আছে ২০০ বছরের দীর্ঘ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতায়। ভিআইপি সংস্কৃতি ঔপনিবেশিক প্রভু আর দেশীয় প্রজার সম্পর্কের আধুনিক রূপ। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ প্রথার দিনগুলোতে রেস্টুরেন্টে সাঁটানো ‘হোয়াইট অনলি’ কিংবা ব্রিটিশ আমলে অভিজাত ক্লাবের দরজায় ‘কালো ও কুকুরদের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সেসব নোটিশ।

ভিআইপি সংস্কৃতি: সংবিধান ও আইন কী বলে

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ‘আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’

সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।’ ১৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হলো, তার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। দেশের নাগরিকদের সঙ্গে শ্রেণিবৈষম্য করে ভিআইপিদের জন্য আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করার কথা কোথাও নেই। ১৯(১) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবে।’ ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ ২৮(১) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না।’

সুতরাং ভিআইপি কালচার বাংলাদেশের সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। একই দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে সংবিধানের ‘কাস্টোডিয়ান’ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তেও। ২০১৯ সালে সরকারের এক যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় তিতাস ঘোষ নামের এক অসুস্থ স্কুলছাত্রকে জীবন দিতে হয় বিনা চিকিৎসায়। ভিআইপি সংস্কৃতির এটি এক জ্বলন্ত উদাহরণ। ঘটনা গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মর্মে পর্যবেক্ষণ দেন যে ‘সরকারি কর্মকর্তারা ভিআইপি নন, তাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীমাত্র।’ আদালত আরও বলেন, ‘ভিআইপি কারা, সেটা আইনে বলা আছে। শুধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ভিভিআইপি হিসেবে গণ্য, আর কেউ নন।’

ভিআইপি সংস্কৃতি অসাংবিধানিক, বেআইনি, অগণতান্ত্রিক এবং মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের পরিপন্থী। স্বাধীন দেশে ভিআইপি-ব্যবস্থা থাকবে কি না, সেটির পুনর্মূল্যায়ন জরুরি। এ-সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ হোক এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে ভিআইপি-ব্যবস্থার পরিবর্তে চালু হবে ‘ইপিআই’; অর্থাৎ, ‘এভরি পারসন ইম্পরট্যান্ট’ (সব মানুষ গুরুত্বপূর্ণ)।

সাঈদ আহসান খালিদ সহকারী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়