আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৮ জুলাই
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে ২৮ জুলাই।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। এই মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ আসামি পলাতক।
আজকের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পলাতক ২৪ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তারপরও তাঁরা হাজির হননি। ট্রাইব্যুনাল-২ ওই ২৪ আসামিকে পলাতক ঘোষণা করে বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রকে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এই চার আইনজীবীর প্রত্যেকে ছয়জন আসামির পক্ষে কাজ করবেন।
আজ এই মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর মধ্যে আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ আইনজীবী নিয়োগ করেছেন।
গ্রেপ্তার অন্য দুই আসামি এখনো আইনজীবী নিয়োগ দেননি। আজ তাঁদের কাছে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, আইনজীবী নিয়োগ দেবেন কি না? জবাবে দুই আসামি বলেন, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন।
গত ২৪ জুন চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সেখানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৩০ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন পার্ক মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।