‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়’

সমাবেশে বক্তব্য দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
ছবি: প্রথম আলো

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আজ বুধবার বিক্ষোভ করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম নগর, নোয়াখালী ও ফেনীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পাশাপাশি আজ হাইকোর্ট থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেমসহ ১০২ নেতা-কর্মী ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম নগরের দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে বিকেলে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন। এ সময় নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত পূর্ণ হয়ে সড়কেও অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি এ সমাবেশ আয়োজন করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ওই সময় তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভর করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এই কর্মসূচি প্রমাণ করে, বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার, কারাগারকে ভয় পান না। মামলার আসামি হওয়ায় অনেকেই আসতে পারেননি। যাঁরা আসামি হননি, শুধু তাঁরা এসেছেন।’

তবে মামলার আসামি কয়েকজনকে দেখা গেলেও পুলিশ তাঁদের কাউকে ধরেনি। ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘এজাহারভুক্ত কোনো আসামি হলে ধরব। সন্দেহজনক কাউকে ধরা হচ্ছে না।’

এর আগে ১৬ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে আয়োজিত কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। এ ঘটনায় করা চার মামলায় পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাসায় তল্লাশিও চালায়। এদিকে পুলিশের করা চার মামলায় নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১০২ জন গতকাল হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ‘সব ব্যাংক এখন খালি। রিজার্ভ খালি। ৫০ হাজার কোটি টাকার নোট নতুন করে ছাপানো হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই, রিজার্ভ নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। পাচার করে বিভিন্ন দেশে দেশে ঘরবাড়ি করেছে। রিজার্ভ খালি, তাই দেশের মানুষের জন্য পণ্য আমদানি করতে পারছে না ডলার নেই বলে। যার জন্য দ্রব্যমূল্য আজ আকাশচুম্বী।’