পিএসসি সংস্কার ও চাকরিতে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

পিএসসি সংস্কার ও চাকরিতে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ বন্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা, ২৮ জুলাইছবি: প্রথম আলো

‘পিএসসি সংস্কার ও চাকরিতে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগের পাঁয়তারা বন্ধের’ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মিছিল বের করা হয়। এ সময় ‘পিএসসি সংস্কার’ প্রসঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে ‘জুলাইয়ের অঙ্গীকার, পিএসসি সংস্কার’, ‘চব্বিশের অঙ্গীকার, পিএসসি সংস্কার’, ‘পিএসসি নিয়ে তালবাহানা, চলবে না চলবে না’সহ নানা স্লোগান দেন। পরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘গত ফ্যাসিবাদী ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের সবগুলো প্রতিষ্ঠান দলীয়করণই যথেষ্ট। আমরা দেখতে পাই, আবারও একটি দল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।’

হাসিবুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোনো দলের কিংবা মতের সুপারিশকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে চলতে দিতে হবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কাউকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা বলেন, আগামীর বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা যেন কোনোভাবেই সরকারি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবৈধভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, সে জন্য দলমত–নির্বিশেষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে।

‘পিএসসি সংস্কার’ প্রসঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি উত্থাপন ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী সিরাজুল সালেহীন। তিনি বলেন, ‘আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আমাদের দুটি দাবি জানাচ্ছি। এক. পিএসসিসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সুপারিশ ও রাজনৈতিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। দুই. পিএসসিসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি স্বতন্ত্র কমিটি থাকবে।’ দাবি পূরণ না হলে অবরোধ ও ব্লকেডের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।