চট্টগ্রামে ওয়াসার পাইপে বাসের ধাক্কা, পানিতে ভাসল চারপাশ

চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ওয়াসার পাইপের ভালভ ভেঙে ফোয়ারার মতো পানি হয়। শনিবার সকালে, জেলার হাটহাজারীর নজুমিয়া হাট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওয়াসার পাইপে ধাক্কা দিয়েছে। এতে পাইপে বসানো বাতাস নির্গমনের ভালভ ভেঙে ওই এলাকার সড়ক পানিতে ভেসে গেছে। এ ঘটনায় বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে হাটহাজারীর নজুমিয়া হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাইপটি মেরামত করা হয়নি। তবে বেলা ১১টার দিকে পাইপ থেকে পানি বের হওয়া বন্ধ হয়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাঙ্গুনিয়ার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে রাউজান ও হাটহাজারী হয়ে পানির পাইপটি ঢুকেছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ জলাধারে। ওই পাইপের একটি অংশে বাতাস নির্গমন ভালভ লাগানো ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাইপের ভালভে ধাক্কা দেয়। এরপর এটি ফেটে পানি বের হতে থাকে।

এ ঘটনায় রাত তিনটা থেকে ওই লাইনে পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয় বলে জানান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পাইপটি প্রায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এটির মেরামতকাজ চলছে।

স্থানীয় বুড়িশ্চর জিয়াউল উলুম কামিল মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক রুহুল কাদের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, পাইপের ভালভ ভেঙে ফোয়ারার মতো পানি বের হয়েছে। পুরো সড়ক পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে।

পাইপে ধাক্কা দেওয়ার পর বাসটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন চালক। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের কুয়াইশ শেখ মুহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে বাসটি আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন। বাসচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম।

চট্টগ্রামে ওয়াসার পাইপ ফেটে দুর্ভোগে পড়ার চিত্র নতুন নয়। এর আগে গত ২১ মে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার লাগোয়া চান্দমিয়া সড়কের মাঝখান দিয়ে যাওয়া পাইপ ফেটে সড়কে পানি জমে যায়।

১৯৬৩ সালে যাত্রা শুরু করা চট্টগ্রাম ওয়াসার বর্তমান আবাসিক গ্রাহক সংযোগ আছে ৭৮ হাজার ৫৪২টি। বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। নগরের প্রায় ১৬৮ দশমিক ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় সাড়ে ৭০০ কিলোমিটার লাইনে পানি সরবরাহ করা হয়। সংস্থাটির ৭০ শতাংশ লাইন বেশ পুরোনো।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব পুরোনো লাইনে কয়েক হাজার ছিদ্র রয়েছে। এসব ছিদ্র দিয়ে প্রতিনিয়ত পানি ঝরছে। তবে বড় আকারের ছিদ্রের খবর পেলে, তা মেরামত করা হয়।

আরও পড়ুন