রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা
ছবি:  রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৌজন্যে

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে অবাধ লুটপাট ও পাচারের সুযোগ করে করে দেওয়া। জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

বিদেশে পাচার করা দেশীয় অর্থসম্পদ ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এ প্রসঙ্গে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনসহ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উদ্বেগ ও তৎপরতা দেখিয়েছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের এমন উদ্বেগ প্রকাশকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন স্বাগত জানায়।

লিখিত বক্তব্য রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক বলেন, আমেরিকার ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট (জিএফআই) বিভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থ পাচার ও আত্মসাৎ নিয়ে কাজ করে। তারা ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পাচার নিয়ে তিনটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। তাদের হিসাবে ২০০৬ থেকে ২০১৫ এই ১০ বছরে প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে বলে তারা অনুমান করেছিল। সেই হিসাব অনুযায়ী এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৩ নাগাদ প্রতিবছর দেশ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ফরিদুল হক বলেন, কিন্তু দেশে একটা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে। যাদের দেশের পাচার বন্ধে কাজ করার কথা, তারা ২০১৮ সালের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির তথ্য জিএফআইকে সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের থেকে কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। এ সময় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে দেশের লুটপাট ও পাচার বন্ধে সব আইনকানুন সংস্কার করতে চার দফা দাবি পেশ করা হয়।