রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রিটটি আজ ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১৬৯ নম্বর ক্রমিকে ছিল।

পরে আইনজীবী এম এ আজিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। বিষয়টি উঠলে দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। এ কারণে তিনি রিট শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। এ অবস্থায় আদালত শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করে রিটটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি এখন যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সেই বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হবে।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে যোগ্য ও একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসির প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।