জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলায় দণ্ডিত রিজেন্টের সাহেদের জামিন

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম
ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় গত ২১ আগস্ট রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭। রায়ে সাহেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জরিমানা স্থগিত করেন। এরপর সাহেদের জামিন চেয়ে আবেদন দাখিল করা হয়।

আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম ও সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর চলতি সপ্তাহে জামিন আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য সাহেদকে জামিন দিয়েছেন। তবে অস্ত্র আইনের মামলায় জামিন না থাকায় এখনই তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দুদক এক নোটিশে সাহেদকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলে। কিন্তু সাহেদ নির্ধারিত সময়ে তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। পরবর্তী সময়ে সাহেদকে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। এরপরও তিনি তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। এমন প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধানের পর সাহেদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।

রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‍্যাব। এরপর তাঁর নামে প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে করা এক মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

আরও পড়ুন