নানা আয়োজনে শেষ হলো ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্মিলনী

অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সপ্তম বার্ষিক সম্মিলনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথিরা
ছবি: সংগৃহীত

অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সপ্তম বার্ষিক সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সম্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রোবেদ আমিন এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। গতকাল শুক্র ও শনিবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মূল আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে একটি প্রি-কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে মানবদেহের থাইরয়েড রোগ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রশিক্ষণ পর্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪০ জন চিকিৎসক অংশ নেন। অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন থাইরয়েড আলট্রাসাউন্ড নিয়ে চিকিৎসকদের বিস্তারিত ধারণা দেন। প্রশিক্ষণ শেষে চিকিৎসকদের হাতে সনদ তুলে দেন অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন ও অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রি-কনফারেন্স অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে রেনাটা লিমিটেড।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের এসব চিকিৎসকে অত্যন্ত কঠিন ও জটিল বিষয়ের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।’ রোগীর সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রোবেদ আমিন স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলেন। ডায়াবেটিস রোগ ও এর চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেন।  

বাংলাদেশের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্টদের নিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। তিনি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের ওপর জোর দেন। এন্ডোক্রিনোলজির খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শিল্পীদের পাশাপাশি চিকিৎসকেরাও সংগীত পরিবেশন করেন।