মানবতার মুক্তির মহান বাণী নিয়ে আসেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)

বিজয়ীদের সঙ্গে অতিথীরা
ছবি: প্রথম আলো

মানবতার মুক্তির মহান বাণী নিয়ে আসেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর জীবন আদর্শ ও চরিত্র অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। মহানবী শিখিয়েছেন সামাজিক ন্যায়বিচার, পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর ভালোবাসা ও অহিংস নীতি বিশ্বশান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.) আয়োজনে রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, আমরা যারা মহানবীকে আদর্শ মানি, তাঁর জীবন–দর্শন আমাদের অনুসরণ করা উচিত। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী বলেছিলেন, “আমি তোমাদের জন্য আমার উদাহরণ রেখে গেলাম। আরব–অনারব, সাদা–কালো, আমির–অনামির এই সকলের মধ্যে কোনো বিরোধ থাকবে না। মানুষের মানুষে কোনো বিরোধ হবে না। পূর্বের মানুষ, পশ্চিমের মানুষ, উত্তরের মানুষ, দক্ষিণের মানুষ, তাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না।”’

দেশের জেলা–উপজেলায় পাঁচ শ মসজিদ নির্মাণের তথ্য জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সরকার মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীর নিজস্ব মত ও পথ চর্চা করার অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। আমাদের সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সার্বিক মানুষের কল্যাণ। আমরা শান্তি চাই, বিশ্বের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব চাই।’

ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) এম নুরুদ্দিন খান শান্তি, সহিষ্ণুতা ও সমতার বিষয়ে মহানবীর শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধি বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তে সুবোলো, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত কামার আব্বাস খোকার, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলী।

ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.) ২০০৪ সাল থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষাশিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে পবিত্র কোরআনের তাফসির আলোচনা, মিলাদ মাহফিল ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। চলতি বছর পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এবারের প্রতিযোগিতায় ১৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.) ২০০৪ সাল থেকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষাশিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে
ছবি: প্রথম আলো

কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোহাম্মদ হুজায়ফা, খাদেমুল ইসলাম ও মাহামুদা আক্তার। হামদ ও নাতে রাসুল (সা.) প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন সুমাইয়া আক্তার, হৃদয় হক তামীম। বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন শাহ মো. মাহামুদুল হাসান, ফারজানা ইসলাম ও ফেরদৌসি আক্তার। আর ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন ফাতেমাতুজ্জোহরা, ওবায়দুর রহমান, মোখলেছুর রহমান ও আবু ফারেজ। এ ছাড়া স্ক্রিন রিডার সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন আজমেরী নিশাত, মোখলেছুর রহমান ও রায়সুল ইসলাম।