ইউএনওর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

# দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর
# উত্তরে রৌমারী, পূর্বে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে জামালপুর ও গাইবান্ধা, পশ্চিমে গাইবান্ধা ও চিলমারী উপজেলা।
# আয়তন: ১১১.০৩ বর্গকিলোমিটার
# উপজেলার জনসংখ্যা ৮৪ হাজার, দারিদ্র্যের হার ৭৯.৮ শতাংশ
# জেলা সদর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন, অনেকটা দ্বীপের মতো
# কুড়িগ্রাম শহরে আসতে নদী পার হতে হয়
# নদীভাঙন সবচেয়ে বড় সমস্যা, এ কারণে ভিটেমাটি ছাড়া হয় মানুষ
# এলাকায় কাজের অভাবে টাঙ্গাইল, ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন
# সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি পর্যাপ্ত নয়
# দুর্নীতির কারণে সরকারের সহায়তাও সবাই পান না

সিএস, এসএ রেকর্ড অনুযায়ী জমির মালিক আনোয়ার হোসেন। কিন্তু আরএস রেকর্ডে তাঁর ১ একর ৪৭ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়ে গেছে। আনোয়ার সংশোধনের জন্য ২ বছর আগে কুড়িগ্রামের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। মামলার বিচার চলছে। এরই মধ্যে জমির মালিককে গুলির ভয় দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন চর রাজীবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত চক্রবর্ত্তী।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর চর রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের বদরপুরে এ ঘটনা ঘটে। আনোয়ারের ছেলে কৃষক ফরিজল হক অভিযোগ করেন, ওই দিন বিকেলে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহশিলদার, উপজেলা সার্ভেয়ার ও আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তী। তিনি দুই আনসার সদস্যকে দিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যদের তাঁকে গুলি করার নির্দেশ দেন।

ফরিজল হক প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, ‘ইউএনও আনসার সদস্যদের বলেন, ‘শুট, শুট’। এ সময় তাঁর ভাতিজি মনিরা বেগম এগিয়ে এলে তাঁকেও গুলি করার নির্দেশ দেন তিনি। আনসার সদস্যরা মনিরার বুকে অস্ত্র ঠেকান। ফরিজল দাবি করেন, ঘটনার দিন তাঁকে প্রায় ২ ঘণ্টা গাড়িতে আটকে রাখেন ইউএনও।

কৃষক ফরিজল হকের অভিযোগ, ২৭ ডিসেম্বর ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তী আনসার সদস্য নিয়ে এসে তাঁদের জমি দখলের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে তাঁকে ২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। গত ৪ মার্চ চর রাজীবপুরের বদরপুরে।
ছবি: প্রথম আলো

৪ মার্চ বদরপুরে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। প্রতিবেশী আবু বক্কর সিদ্দিক ও ফটিক চান প্রথম আলোকে বলেন, ফরিজলের বড় ভাই সিরাজুল হক বছরখানেক আগে জমির একটি অংশে মাটি ভরাট করেন। তিনি ওই জমিতে ঘর তুললে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। সিরাজুলের ভাষ্য, ইউএনও তাঁদের জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ওঠাতে চেয়েছিলেন।

ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তী ৬ মার্চ দাবি করেন, বদরপুরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। গুলির নির্দেশ ও ফরিজলকে আটকের বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাজীবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আবদুল রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনও দু-তিনবার চিৎকার করে আনসার সদস্যদের গুলির নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

শুধু ফরিজল নন, চর রাজীবপুরের অন্তত ১৫ জন বাসিন্দা প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, হুমকি দিয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি সরিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তুলছেন ইউএনও। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে পুলিশ ও আনসার দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
অমিত চক্রবর্ত্তী ২০২১ সালে ৬ সেপ্টেম্বর চর রাজীবপুরের ইউএনও হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ইউএনও ছিলেন। সেখানে এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে গত ১৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাঁকে শুধু তিরস্কার করে।

ফরিজলের ভাতিজি মনিরা বেগমের অভিযোগ, তিনি এগিয়ে এলে তাঁকেও গুলি করার নির্দেশ দেন ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তী। গত ৪ মার্চ চর রাজীবপুরের বদরপুরে।
ছবি–প্রথম আলো

গরিবের বসতবাড়ি উচ্ছেদ

চর রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের আজগর দেওয়ানীপাড়ার দিনমজুর ইসমাইল হোসেন তাঁর শরিকদের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে রাজীবপুর মৌজায় ৩ শতক ও ২০০৮ সালে সাড়ে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। তিনি এসব জমি ভোগদখল করছেন। তাঁর মতো রেজিয়া খাতুন, তালেব আলী, আবদুস ছাত্তার ও খোকন মিয়াসহ অনেকে শরিকদের কাছ থেকে পাওয়া জমিতে বসবাস করছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, হুমকি দিয়ে তাঁদের বসতঘর সরিয়ে দিয়ে সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, গত ১ জানুয়ারি বিনা নোটিশে ইসমাইল হোসেনের জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে তাঁর ভাই লাল মিয়া ঠিকাদার কবীর হোসেনকে বাধা দেন।
লাল মিয়ার চাচি রহিমা বেগম বলেন, ‘টিএনও (ইউএনও) আইসা ধইরা আতাইলা-পাতাইলা গালের মধ্যে চড় দিয়া লাল মিয়ারে নিয়া গেল গা।’ কন্ডাকডারের (কবির) পাও (পা) ধইরা কত চিক্কুর (চিৎকার) পারছি। সালাম তহশিলদারের (ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) পাও ধইরা চিক্কুর পারছি। তাও ওরে (লাল মিয়া) নিয়া থানায় দিছিল।’
চর রাজীবপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুস সালাম মণ্ডল এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে রাজীবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, ঘটনা শোনার পর রাতে তিনি লাল মিয়াকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। ১২ ঘণ্টা পর লাল মিয়া ছাড়া পান।

চর রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম দাবি করেন, ইউএনও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। ফোর্স চাইলে দিতে হয়। লাল মিয়াকে আটকের ঘটনা তাঁর সঠিক মনে নেই।

মামলা তুলে নিতে হুমকি

গত ১ জানুয়ারি বসতবাড়ি সরিয়ে আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ শুরু হলে ৩ জানুয়ারি আদালতে মামলা করেন রেজিয়া, ইসমাইল ও খোকন মিয়া। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা মামলা তুলে নেন।

রেজিয়া প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, ‘টিএনও অইত্যাচার (অত্যাচার) করেন। রাগারাগি করেন। লেবার (শ্রমিক) দিয়া ঘরের বেড়া কাইটা দেন। ঘরদুয়ার ভাইঙ্গা দেন। হেই জন্ন্যে মামলা তুইলা নিছি।’

ইসমাইল হোসেনের বসবাস করা এই জায়গায় ঘর ছিল। কিন্তু ইসমাইলের স্ত্রী জামেলা বেগমের অভিযোগ, তাঁদের ঘর সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। ২ মার্চ আজগর দেওয়ানি পাড়ায়।
ছবি–প্রথম আলো

তবে ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তী দাবি করেন, কোনো হুমকির ঘটনা ঘটেনি। মামলার বিষয়টি আদালতের। এই বিষয়ে তাঁর কোনো মতামত নেই।

সরকারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কণ্টক খাসজমি, সরকারিভাবে কেনা জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানের জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে।

তবে চর রাজীবপুরের বাসিন্দারা বলছেন, বেশির ভাগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তোলা হচ্ছে বিরোধপূর্ণ বা মামলা রয়েছে এমন জমিতে।

চর রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের সদস্য আবু শামা দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ইউএনও মরিচাকান্দি এলাকার এক নারীকেও পুলিশের গাড়িতে আটকে রাখেন। তিনি যাকে তাকে হয়রানি করছেন। এ নিয়ে এলাকার মানুষ অসন্তুষ্ট।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ইউএনওর বিরুদ্ধে তিনি কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন। সেগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিম্নমানের কাজ, দুর্নীতির অভিযোগ

বর্তমান ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তীর সময়ে রাজীবপুর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ১১১টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ৮৬টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, অমিত চক্রবর্ত্তী চর রাজীবপুরে যোগ দেওয়ার পর উপজেলা যুবদলের বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেনের সঙ্গে ‘বিশেষ সখ্য’ গড়ে ওঠে। তাঁকে দিয়ে ইউএনও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করাচ্ছেন। নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাজীবপুরে সরকারের ‘জমি আছে ঘর নাই’ নামের হিসাব থেকে কবির হোসেনের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। একইভাবে একই তারিখে ‘গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ নামের হিসাব থেকে কবিরের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।

উপজেলার নয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদুল গণি (৮০) প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। শাহিনা বেগম বলেন, দুপুরের খাবার, ঘরের মাটি ভরাট, মাটি সমান করা—সবকিছু তাঁদের মতো সুবিধাভোগীদের করতে হয়।

সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ইজিপিপির (৪০ দিনের কর্মসূচি) শ্রমিক দিয়ে আজগর দেওয়ানি পাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট করিয়ে নিচ্ছেন ইউএনও।

তবে ইউএনও অমিত চক্রবর্ত্তীর দাবি, নির্মাণসামগ্রীর দাম বেশি। তারপরও সবকিছু স্বচ্ছভাবে করা হচ্ছে। কবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁকে তিনি চেনেন না। বরং এ প্রতিবেদককে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘হু ইজ কবির’ (কবির কে)?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাজীবপুরে সরকারের ‘জমি আছে ঘর নাই’ নামের হিসাব থেকে কবির হোসেনের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। একইভাবে একই তারিখে ‘গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ’ নামের হিসাব থেকে কবিরের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রথম আলোর হাতে রয়েছে।

এ দুটি প্রকল্পের সভাপতিও ইউএনও। সরকারি হিসাবের এই টাকা ব্যক্তিগত হিসাবে যাওয়ার বিষয়ে ইউএনওর ভাষ্য, ‘কোন হিসাব থেকে কার হিসাবে টাকা গেছে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার ভালো বলতে পারবেন।’

তবে কবির হোসেনের দাবি, তিনি ঘর নির্মাণের বাঁশ, কাঠ, বালু, রড, দরজা-জানালাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করেন। নির্মাণশ্রমিকদের মজুরিসহ প্রয়োজনীয় মালামালের জন্য ইউএনও তাঁর ব্যাংক হিসাবে এই টাকা পাঠিয়েছেন।

টিআর-কাবিটাতেও দুর্নীতি

উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্য, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংস্কার ও মেরামতে টিআর ও কাবিটার বরাদ্দ ইউএনও নিজেই নেন। নামমাত্র কমিটি করে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলার ৮টি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় ৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়। এসব প্রকল্পে মোট ২১ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৫ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।

গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় কোদালকাটি ইউনিয়নের ‘চর সাজাই মৌজায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মসজিদের দক্ষিণ ও উত্তর সাইডে গাইড ওয়াল নির্মাণ ও মাটি ভরাট’ প্রকল্পে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি সেখানে গেলে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ, স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ফরিদ ও ছকিনা খাতুন বলেন, গত তিন বছরে ওই গুচ্ছগ্রামে (আশ্রয়ণ প্রকল্প) কোনো কাজই হয়নি।

মরিচাকান্দির আশ্রয়ণ প্রকল্পের পূর্ব পাশে মাটি ভরাট ও পানিনিষ্কাশনের জন্য প্রাচীরসহ পাইপ স্থাপনে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।

২৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে গেলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, দুজন মিস্ত্রি ও দুজন জোগালি গাইড ওয়াল নির্মাণে এক দিন কাজ করেছিলেন। মিনি ট্রাক্টরে চার গাড়ি মাটি এনে পাঁচ শ্রমিক গর্ত ভরাটের কাজ করেন। সব মিলিয়ে এতে ২০ হাজার টাকাও খরচ হয়নি।

তবে ইউএনওর দাবি, শতভাগ কাজ করা হয়েছে।