চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সভায় সিডিএ প্রতিনিধি না থাকায় কাউন্সিলরদের ক্ষোভ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ভবন
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রতিনিধি ছিলেন না। টানা তিনটি সাধারণ সভায় এ সংস্থার কোনো প্রতিনিধি আসেননি। এভাবে অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। তাঁরা বলছেন, সিডিএ নগরের জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিনিধি না থাকায় এসব প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ বিষয়ে কাউকে অবহিত করা যাচ্ছে না।

বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৬তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।  

সভায় সিটি করপোরেশনের পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী সিডিএর প্রতিনিধি না থাকার বিষয়টি নজরে আনেন। তিনি বলেন, নগরের মুরাদপুর এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে রাস্তা বন্ধ। নির্মাণকাজের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আবার আগের পদচারী–সেতু (ফুটওভার ব্রিজ) সরিয়ে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে চলাচল করতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনায় পড়বে। কিন্তু এগুলোর বিষয়ে দায়িত্বশীল সংস্থা সিডিএর কোনো প্রতিনিধি এখানে নেই। তাহলে কাউন্সিলররা জনদুর্ভোগের কথা কাকে বলবেন?

সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় সিডিএর প্রতিনিধি টানা অনুপস্থিত না থাকার বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানান কাউন্সিলররা।

এ সময় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুরাদপুর মোড় ও মূল সড়কে কাটাকাটির কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসন করতে হবে।

সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় প্রতিনিধি না পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রথম আলোকে বলেন, সভার ৭ থেকে ১০ দিন আগে চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো যোগাযোগ করে না। এ কারণে কাজের চাপে সভার বিষয়টি অনেক সময় স্মরণে থাকে না। অথচ সিডিএতে সভা হলে দফায় দফায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে সভায় সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পবিত্র রমজানের সময় সড়কে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রোজার সময় বাজারগুলোর রাস্তা যাতে ব্যবহারযোগ্য এবং নালাগুলো পরিষ্কার থাকে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নগরের নিউমার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং বহদ্দারহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ ছাড়া উড়ালসড়কের নিচে এবং উপযুক্ত স্থানে ফির বিনিময়ে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা চালুর বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে বলেন মেয়র।