করোনার সনদ জালিয়াতির মামলায় সাহেদের বিচার শুরু

সাহেদ করিমছবি: সংগৃহীত

করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতি করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলায় বিচার শুরু হলো।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের সময় কারাগার থেকে সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়।

অভিযুক্ত অপর চার আসামি হলেন দীপায়ন বসু, অনিন্দ্য দত্ত, মাসুদ পারভেজ ও মিজানুর রহমান। আসামিদের মধ্যে দীপায়ন ও অনিন্দ্য পলাতক। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন।

সাহেদের আইনজীবী দবির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, করোনার প্রতিবেদন জালিয়াতির ঘটনার মামলায় সাহেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের সময় সাহেদসহ অন্যরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

করোনার প্রতিবেদন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ৭৬ শ্রমিকের করোনার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার মাধ্যমে ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন সাহেদসহ অন্যরা। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, সাহেদের নির্দেশনায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র করোনার ভুয়া সনদ তৈরি করে। পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ তৈরি ও নমুনা সংগ্রহের জন্য সাহেদ দুটি দল তৈরি করেন। প্রতিদিন দুই শর মতো নমুনা সংগ্রহ করতেন। এর মধ্যে ৫০টি নমুনা পরীক্ষার জন্য জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে (নিপসম) পাঠানো হতো। বাকি নমুনাগুলো পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ তৈরি করতেন তাঁরা।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অবশ্য চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে অস্ত্র মামলায় তিনি খালাস পান।

উল্লেখ্য, চেক জালিয়াতির মামলায় ২০১০ সালে ঢাকার একটি আদালত সাহেদকে ছয় মাসের সাজা দেন। উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা আছে। এ ছাড়া সাহেদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০টির বেশি মামলা বিচারাধীন।