রাজধানীর গুলিস্তানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে সাঈদ শেখ (২১) নামের এক তরুণকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। সাইদুলকে বাক্প্রতিবন্ধী হিসেবে উল্লেখ করেন অনেকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে এ বিষয়ে মতামত জমা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
কারা কর্তৃপক্ষ সেই বিশেষজ্ঞ মতামত জমা দিতে পারেনি। কিন্তু ইতিমধ্যে ৯ দিন হাজতবাস করা সাঈদ শেখের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আজ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জাকির হোসেন।
জামিনের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাঈদ শেখকে। এজাহার অনুযায়ী, সাঈদ শেখ আওয়ামী লীগের মিছিলে যান। তিনি এর আগেও আওয়ামী লীগের পক্ষে একটি টেলিভিশনে বক্তব্য দেন। সাঈদ শেখের ব্যাপারে কারাগারের চিকিৎসকের প্রতিবেদন তলব করা হয়। চিকিৎসকের সেই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেননি। আসামিপক্ষ পক্ষ থেকে সাঈদ শেখকে প্রতিবন্ধী দাবি করা হয়েছে। আসামি ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। আসামির হাজতবাস ৯ দিন। আসামির শারীরিক অবস্থা, হাজতবাস ও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিবেচনায় ৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। সেখান থেকে জানা যায়, আসামি সাঈদ শেখ প্রতিবন্ধী কি না, সে বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামি প্রতিবন্ধী কি না, সে বিষয়ে ঢাকার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেটি আদালতে জমা দেওয়া হবে।
সাঈদ শেখের আইনজীবী কায়েস আহমেদ প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁর মক্কেল একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেওয়া প্রতিবন্ধীর সেই কার্ড আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
আর সাঈদ শেখের মামা মো. সুমন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাগনে জন্মগত প্রতিবন্ধী। তাঁকে খাইয়ে দিতে হয়। একসময় তাঁকে শিকল দিয়েও বেঁধে রাখা হতো। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পর থেকে কারাগারে সে মানবতর জীবন যাপন করেছে।