শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য প্রথম আলোর নাজনীন আখতারসহ ৬ সাংবাদিক পুরস্কৃত

অতিথিদের সঙ্গে শিশু অধিকার-বিষয়ক প্রতিবেদন করে পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকেরা। ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ সমাজে জগদ্দল পাথরের মতো রয়ে গেছে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সংকট সমাধানে আরও গভীরে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সাংবাদিকেরা তথ্য তুলে এনে নীতিনির্ধারকদের সচেতন করছেন।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মিডিয়া কম্পিটিশন’ (গণমাধ্যম প্রতিযোগিতা) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জীবন মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরা এবং এ বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিগোচর করার লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজন করে ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’।

অনুষ্ঠানে শিশু অধিকারবিষয়ক প্রতিবেদন করার জন্য ছয়জন সাংবাদিক পুরস্কৃত হন। প্রিন্ট ও অনলাইন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাজনীন আখতার, প্রথম রানারআপ দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাহিদা পারভেজ ও দ্বিতীয় রানারআপ হন দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক ফয়সাল খান।

ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন এটিএন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি মো. শরফুল আলম, প্রথম রানারআপ হন চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক জাকিয়া আকতার ও দ্বিতীয় রানারআপ হন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জিনিয়া কবির।

চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে যথাক্রমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৭৫ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার চেক, সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, সামাজিক সূচকে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। যেসব সূচকে দেশ এখনো পিছিয়ে আছে তা চিহ্নিত করে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সরকারকে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনোয়ার হোসেন, একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের এবং প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।

বাংলাদেশে ৫২ বছর ধরে সংস্থার কাজের তথ্য তুলে ধরেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ পরিচালক (অপারেশনস) চন্দন জেড গোমেজ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিযোগিতার বিচারকমণ্ডলীর তিন সদস্য নেক্সাস টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সানাউল্লাহ লাবলু , গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শাহানা হুদা।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ফিল্ড অপারেশনের উপপরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা। প্রতিযোগিতা আয়োজনের নানা দিক নিয়ে তৈরি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার আগে এই প্রতিযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান ‘মিডিয়া কম্পিটিশন ২০২৩’-এর প্রকল্প সমন্বয়ক শেখ সাইফুর রহমান।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রঞ্জন সরকার। শুরুতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের শিশুরা নৃত্য ও নাটিকা পরিবেশন করে। আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ব্র্যান্ড কার্ট।