দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে একগুচ্ছ নির্দেশনা
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) সদস্যদের টহল জোরদার করা হবে। বাড়ানো হবে গোয়েন্দা নজরদারি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করে কি না, তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ বুধবার মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি রাখতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
স্মারকে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট পূজা উদ্যাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে অন্তত ৩ জন এবং রাতে ৪ জন) নিয়োজিত করা হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূজা উদ্যাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে। পূজায় হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকেরা এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।