টঙ্গীতে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের আরেক সদস্যের মৃত্যু

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটফাইল ছবি

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের আরেক সদস্য মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন মারা গেলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনই ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।

সর্বশেষ মারা যাওয়া এই ফায়ার সার্ভিস সদস্যের নাম খন্দকার জান্নাতুল নাঈম (৩৭)। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক (অফিসার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন

আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জান্নাতুল নাঈমের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার সদস্য তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তালহা বিন জসিম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁর গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার গড়দুয়ারায়। তিনি ২০১৬ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। চাকরি জীবনে স্টেশন অফিসার হিসেবে মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি পেয়ে ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম ও সর্বশেষ টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুন

খন্দকার জান্নাতুল নাঈম এক সন্তানের জনক। তাঁর বাবা খন্দকার মোজাম্মেল হক ও মা দেলোয়ারা বেগম। আজ বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টঙ্গীর সাহারা সুপার মার্কেট–সংলগ্ন একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।

একপর্যায়ে রাসায়নিকের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী ও এক কর্মকর্তা দগ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্য নুরুল হুদা (৪০) ও শামীম আহম্মেদ (৪২)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মো. আল আমিন ওরফে বাবু (২১) নামের দগ্ধ আরেকজন মারা গেছেন। তিনি ঘটনাস্থলের পাশের একটি হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

আরও পড়ুন