বহিরাগতদের হামলায় রাবির দুই শিক্ষার্থী আহত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের হামলায় দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন শেখ রাসেল খেলার মাঠের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম পারভেজ (শান্ত) ও হাসিবুল হাসান (শুভ)। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হামলার পর রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। রফিকুল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দাশমারী স্কুল মোড়ের বাসিন্দা রুস্তম আলীর ছেলে। তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পুরাতন শেখ রাসেল মাঠের পাশে পুকুরপাড়ে বহিরাগত দুই তরুণ–তরুণী বসে ছিলেন। তখন মাঠে খেলাধুলা করছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁরা ওই দুজনকে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় না বসে ‘ভালোভাবে’ বসতে বলেন।

এর কিছুক্ষণ পর ওই তরুণ ফোন করে ছয় থেকে সাতজন বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় বহিরাগতরা দুই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে তাঁরা সেখানে থাকা সাইকেলের ওপর পড়ে যান।

এ বিষয়ে হামলার শিকার হাসিবুল হাসান বলেন, ‘আমরা বিভাগের কয়েকজন মাঠে খেলাধুলা করছিলাম। এমন সময় দেখি পুকুরপাড়ে একজন মেয়ে ও একজন ছেলে আপত্তিকর অবস্থায় বসে আছে। তাদের আমরা শালীনতার সঙ্গে বসতে বললে ছেলেটি আমাদের ওপর খেপে যায়। তারপর আমরা প্রক্টরকে বিষয়টি জানালে, তিনি পুলিশ পাঠিয়ে তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দেন।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘কিছুক্ষণ পর ওই তরুণ ছয় থেকে সাতজন বহিরাগতকে নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমাকে ও শান্তকে সাইকেলের ওপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমরা দুজন পায়ে আঘাত পাই। পরে আমার বন্ধুরা চলে এলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। পরে আমরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। আমরা সেই অভিযোগ থানায় পাঠিয়েছি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডি আটক ছেলেটিকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সে এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।