শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, আশা প্রধান উপদেষ্টার
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ফলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়িভাড়া আরও সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ পাবেন। তবে কারও বাড়িভাড়া দুই হাজার টাকার কম হবে না।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে ঢাকায় আন্দোলন করে আসছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ বাড়িভাড়া বাড়ানোর পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। তবে বাস্তবতা হলো, ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গতিশীল হলেও এখনই মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মতো সামর্থ্যের অর্থনীতিতে ফেরেনি। তাই সরকারকে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন। তিনি শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।