চিত্রনায়িকাদের মনোনয়ন চাওয়া অপরাধ নয়, মাহিয়া মাহি প্রসঙ্গে বললেন তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও মাহিয়া মাহি
ফাইল ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে শাসক দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তাঁর মনোনয়ন চাওয়া নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আজ শনিবার মাহিয়া মাহির এই মনোনয়ন চাওয়া নিয়ে কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কোনো চিত্রনায়ক বা নায়িকার মনোনয়ন চাওয়া অপরাধ নয়।

আজ চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র তুলেছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী রকিব সরকারকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।

সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগের ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (ভোলাহাট-গোমস্তাপুর-নাচোল) আসনটি শূন্য হয়েছে। ওই আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির আমিনুল ইসলাম। এই আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হবে উপনির্বাচন। মনোনয়ন ফরম তোলার পর মাহি বলেন, ‘আমি স্বামীকে বলছিলাম, ন্যূনতম ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতব এবং এই আসন নৌকাকে এনে দেব ইনশা আল্লাহ।’
মাহিয়া মাহির মনোনয়ন নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আজ এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি-মতাদর্শে বিশ্বাস করে—এমন যে কেউ নমিনেশন চাইতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনো চিত্রনায়ক-নায়িকা চাইলে সেটি অপরাধ নয়। পাশের বাড়ি পশ্চিম বাংলাসহ ভারতবর্ষে মিডিয়া জগতের অনেককেই নমিনেশন দেওয়া হয়।’

হঠাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ আসনে চিত্রনায়িকা ও নাচোলের মেয়ে শারমিন আক্তারের (মাহিয়া মাহি) আগমনের বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মাহির মনোনয়ন ফরম কেনা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিতে এখন আলোচনার খোরাক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কয়েক নেতা-কর্মী।

আরও পড়ুন

এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় যারা আওয়ামী লীগের পোড়খাওয়া নেতা-কর্মী, তাদেরই অগ্রাধিকার। পাশাপাশি দলকে আরও অনেক বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়।’

গতকাল ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।

আরও পড়ুন