থানা থেকে ঢাবি ছাত্রকে মুক্ত করে ফেরার পথে মারধরের শিকার ছাত্র অধিকারের তিন নেতা

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার তিন নেতা মারধরের শিকার হয়েছেন। মারধরের জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ভাষ্যমতে, আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির সামনের ফুটপাতে সংগঠনের তিন নেতা মারধরের শিকার হন।

মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহউদ্দিন সিফাত, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পাদক আবদুল কাদের। তাঁদের মধ্যে সিফাত ও আহনাফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল কর্তৃপক্ষ মেফতাহুল মারুফ নামের এক ছাত্রকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মেফতাহুলকে মুক্ত করতে আজ শাহবাগ থানায় যান ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার কয়েক নেতা। তাঁকে থানা থেকে মুক্ত করে ফেরার পথে তাঁরা হামলার শিকার হন।

মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখা।

তবে অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমরা অবগত নই। ছাত্রলীগের কর্মীদের এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর প্রশ্নই আসে না।’

আরও পড়ুন
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহত একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ছবি: সংগৃহীত

২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপে সমালোচনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী মেফতাহুল। গতকাল মধ্যরাতে হল কর্তৃপক্ষ মেফতাহুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে।