বাবুল আক্তার এক মামলায় জামিন পেলেন

বাবুল আক্তার
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় করা এক মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রায় দেন।

একই বেঞ্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দুই মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) রেখেছেন।

ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। আর খুলশী থানায় মামলাটি করেছিলেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। পৃথক মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন বাবুল আক্তার।

আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।  

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় বাবুল বাদী হয়ে পরদিন নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাবুলের করা মামলায় তিনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

পরে আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি মামলায় হাইকোর্ট বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্য মামলায় তাঁর জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন হাইকোর্ট। বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম কারাগারে আছেন। আদালতের আদেশ অনুসারে তিনি কারাগারে ডিভিশন (বন্দী মর্যাদা) পেয়েছেন।’

আরও পড়ুন

পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ধানমন্ডি থানা–পুলিশ। মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে ইলিয়াস ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। বাবুল, তাঁর বাবা ও ভাইয়ের যোগসাজশে ইলিয়াস এ ধরনের তথ্য প্রচার করেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাটির প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

অন্যদিকে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা-অসত্য তথ্য সরবরাহ-প্রচারের অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন