জনপরিসরে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ পান করানোর সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব হাইকোর্টের

প্রতীকী ছবি

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনপরিসরে (পাবলিক প্লেসে) মায়েরা যাতে শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রায়ে এ গুরুত্বের বিষয় আসে। পূর্ণাঙ্গ রায়টি আজ মঙ্গলবার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী।

রায়ে বলা হয়, জন্মের পর দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন—এ সত্য বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক স্তন্যদানকারী মা চাকরি বা ব্যবসায় নিয়োজিত। তাই সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শপিং মল, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালের মতো জনপরিসরে মায়েরা যাতে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন; সে জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বিমানবন্দর, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন ও শপিং মলের মতো জনসমাগমস্থলে মা ও শিশুর জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ স্থাপন নিয়ে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর জনস্বার্থে একটি রিট করা হয়। তখন ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী (বর্তমানে চার বছর আট মাস) ও তাঁর মা আইনজীবী ইশরাত হাসান রিটটি করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন।

চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা করে ওই রায় দেন। রায়ে বিচারপতিরা বলেন, সম্ভবত কোনো না কোনোভাবে ইতিহাস তৈরি হয়েছে। কারণ, একটি ৯ মাস বয়সী শিশু এর আগে রিট আবেদন করেনি।

পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেয়েছেন জানিয়ে আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, রুল যথাযথ ঘোষণা করায় সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল, রেলস্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দরের মতো অন্যান্য জনসমাগমস্থলে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে শিশু ও তার মায়ের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। আদালতের নির্দেশনা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে বলে রায়ে আশা প্রকাশ করেছেন আদালত। পোশাক খাতসহ অন্য নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কর্মস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং করানোর জন্য কক্ষ স্থাপনের বিষয়টিও রায়ে গুরুত্ব পেয়েছে।