চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু বেশি ২১ লাখ ৪১ হাজার: মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে এবার চাহিদার তুলনায় প্রায় ২১ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু বেশি আছে। আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সচিবালয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু নিয়ে চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিত করার বিষয়ে সভাটি হয়।

পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। আর কোরবানির জন্য দেশে পশু আছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি; যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার বেশি। এই হিসাবে এবার চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি বেশি আছে।

মোট কোরবানির পশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি গরু-মহিষ, প্রায় ৭৭ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং আড়াই হাজারের বেশি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, কোরবানির হাটে এ বছর কোনোভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের মতো এবারও সারা দেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতেও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না। এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করা যাবে। বাজারের বাইরে পশু বিক্রি করলে ‘হাসিল’ আদায় করা যাবে না।

খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে, সে জন্য খামারিরা চাইলে ৯৯৯–এ যোগাযোগ করতে পারবে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সভা

এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতি, পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পশু কোরবানি এবং দ্রুততম সময়ে পশুর বর্জ্য অপসারণে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তাদের লক্ষ্য হলো, কোরবানির দিনেই বর্জ্য সরিয়ে ফেলা।

নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে যাতে পশুর হাট না বসে এবং তা জনজীবনে কোনো প্রকার অসুবিধার সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।