বাংলাদেশকে প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রস্তাব ভারতের
ভারতের সাশ্রয়ী ও উচ্চমানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে যৌথ উৎপাদন ও উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্ডিয়ান ডিফেন্স ইক্যুইপমেন্ট (এসআইডিই) বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতা-উল হাকিম সারওয়ার হাসান মূল বক্তব্য দেন।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় সেক্টরের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় প্রতিরক্ষা পণ্য নির্মাতা সেমিনারে তাঁদের প্রতিরক্ষা পণ্য ও প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন দেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাশিল্প খাতে সহযোগিতাকে প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বের একটি উদীয়মান কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত প্রায় এক দশকে ভারতীয় প্রতিরক্ষাশিল্পের অর্জনগুলো তুলে ধরেন।
প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশকে ভারতের দেওয়া ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা–সংক্রান্ত ঋণচুক্তির (এলওসি বা লাইন অব ক্রেডিট) বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতে অংশীদারত্বের বিষয়ে তাঁর দেশের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন। তিনি দুই পক্ষের প্রতিরক্ষাশিল্পকে এ ব্যবস্থার পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সিজিএস লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদনক্ষমতার প্রশংসা করেন এবং প্রতিরক্ষাশিল্পে দুই পক্ষের মধ্যে প্রগাঢ় সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বিদ্যমান, যা সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের যৌথ ত্যাগের চেতনায় পরিচালিত হয়।