ভিড় ঠেলে জনতার সঙ্গে জানাজায় পাকিস্তানের স্পিকার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হতে বুধবার ঢাকায় এসেছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ ব্লকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সমবেদনা জানিয়ে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে তাঁর জানাজায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ভিড়ের কারণে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বিদেশি অতিথিদের জন্য নির্ধারিত স্থানে গিয়ে তিনি জানাজা পড়তে পারেননি। ভিড়ের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশের লোকজনের পাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার জানাজা পড়েছেন।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় আসার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাতে জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করেন সার্কভুক্ত দেশের উচ্চপর্যায়ের অতিথিরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদ এবং শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিজিতা হেরাথ।
জাতীয় সংসদ ভবনে আলোচনার আনুষ্ঠানিকতা সেরে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া বাকি পাঁচ অতিথি একটি বাসে ওঠেন। সার্কভুক্ত পাঁচ দেশের উচ্চপর্যায়ের অতিথিদের বহনকারী বাসটিতে ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুকসহ কয়েকজন কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদ।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার জানাজা রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হওয়ায় সার্কভুক্ত পাঁচ দেশের উচ্চপর্যায়ের অতিথিদের বহনকারী বাসটি ভিড়ে আটকে ছিল প্রায় আধা ঘণ্টা। পরে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক আড়ংয়ের লালমাটিয়া শাখার উল্টো দিকে দেশি–বিদেশি অতিথিদের বহনকারী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। গাড়ি থেমে নেমে খানিকটা এগিয়ে তিনি জনতার সঙ্গে জানাজায় শামিল হন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।