বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কোন বিভাগে কত ভোট পড়ল

রাজধানীর বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুল। সেখানে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুব কম। এটি ঢাকা-১১ আসনের মধ্যে পড়েছেছবি: নুরুল আমিন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশি ভোট পড়ছে খুলনা বিভাগে, কম সিলেটে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে, বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত হিসাবে ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে ২৫, ময়মনসিংহ ২৯, চট্টগ্রাম ২৭, রাজশাহী ২৬, খুলনা ৩১, রংপুর ২৬, সিলেট ২২ ও বরিশালে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সার্বিকভাবে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানা যায়নি।  

এর আগে দুপুর ১২টার পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সারা দেশে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।

আজ সকাল আটটায় সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর বলছে, সকালে ভোটার উপস্থিতি কোথাও কোথাও কম ছিল। কোথাও কোথাও ছিল তুলনামূলক বেশি।

দেশে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বাকি আসনগুলোতে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল বলে হিসাব দিয়েছিল ইসি।

আরও পড়ুনঃ

জোর করে নৌকায় ভোট নেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনীর

নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন

আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে: জি এম কাদের

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় দল অংশ নেয়। তবে নির্বাচনটি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। ইসির হিসাবে, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০ শতাংশের কিছু বেশি।

আজ সকালে রাজধানীর হাবীবুল্লাহ্‌ বাহার কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোট গ্রহণ মাত্র শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি আশা করি আরও বাড়বে। প্রতিটি সেন্টারে আমি খোঁজ নিয়েছি। ভোট হয়েছে অল্প অল্প। কোথাও ২৫টি, কোথাও ৪০টি।’

হরতাল ও সহিংসতার কারণে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা তিনি বলতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটটা ম্যানেজ করছে। ভোটাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।

দুপুরে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের রংপুর-৩ আসনের ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জামালপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। যে পুরোনো কায়দায় আওয়ামী লীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে। যদিও বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।’