ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রায়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের উদ্বেগ

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ ও জরিমানা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তারা বলেছে, তড়িঘড়ি করে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘একটি সাজানো মামলায়’ রায় দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এই রায় বাতিলের দাবি জানিয়েছে সাদা দল।

আজ শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ড. ইউনূস আন্তর্জাতিকভাবে একজন সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে বিশেষ সম্মান লাভ করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, তিনি বারবার বর্তমান সরকার ও সরকারি দলের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানগুলোয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ তুচ্ছ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটিও এমনই একটি মামলা।

শ্রম আইনের মামলার রায়ে ড. ইউনূস ন্যায়বিচার পাননি বলে মনে করে সাদা দল। তারা বলেছে, তড়িঘড়ি করে ড. ইউনূসকে একটি সাজানো মামলায় রায় দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রায়ের ফলে ড. ইউনূস যতটা না অসম্মানিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার চেয়ে দেশের বিচারব্যবস্থা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও বিতর্কিত হয়েছে। তাই আমরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দেওয়া বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের সাজা বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

একতরফাভাবে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করেছে এবং এর প্রতিবাদে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কৌশল হিসেবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে সাদা দল।

৮৩ বছর বয়সী ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এই ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্যমুক্তিতে ভূমিকা রাখার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত তিনি। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের পদে থেকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের একটি মামলায় ১ জানুয়ারি তাঁকে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত। গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তাকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে জামিন পেয়েছেন তিনি।