কোথায়, কখন, কোন আম পাড়া হবে

ফলের রাজা আমের ফলন এবার কেমন হবে, তা নিয়ে উৎপাদনকারী ও কৃষিবিদদের বিস্তর উদ্বেগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এবার আমের উৎপাদন অন্তত ১৫ শতাংশ কম হতে পারে গতবারের চেয়ে। এর পেছনে তিনটি কারণের কথা বলছেন তাঁরা। এক. দীর্ঘ সময় ধরে শীত থাকা। দুই. দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের বিস্তার। তিন. এবার আমের ‘অফ ইয়ার’।

আমের উৎপাদন নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছ থেকে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ অধিদপ্তরের ‘রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প’ দেশের রপ্তানি উপযোগী আমগাছ থেকে সংগ্রহের বিষয়ে একটি সময়সূচি দিয়েছে। গত ২০ মার্চ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ে আয়োজিত সভায় এ তারিখ ঠিক হয়।

এ তারিখ শুধু রপ্তানিযোগ্য আম সংগ্রহের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আজ সোমবার প্রথম আলোকে জানান উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংযের উপপরিচালক (রপ্তানি) মো. মফিজুল ইসলাম। স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করার জন্য আম সংগ্রহের তারিখ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলো করবে বলেও জানান তিনি। তবে সরকারিভাবে আম সংগ্রহের যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটিকে ধরেই অনেকে এগোচ্ছেন বলে মাঠপর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা ও নওগাঁ কার্যালয় ইতিমধ্যে আম সংগ্রহের জন্য স্থানীয়ভাবে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় এখনো আম সংগ্রহের তারিখ ঘোষিত হয়নি। তবে দুই জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, শিগগিরই তাঁরা তারিখ ঘোষণা করবেন।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এখন গাছে যে আম আছে, এটি যেন অপরিপক্ব অবস্থায় সংগ্রহ না করা হয়। এটা আম বেড়ে ওঠার সময়। এখন সঠিক পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় সেচ দিলে আমের আকার বড় হবে এবং ওজন বাড়বে। আমের আকার ও ওজন বাড়াতে পারলে আমের সংখ্যা কম হলেও সার্বিকভাবে উৎপাদন–ঘাটতি কমে আসবে।

উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৯টি জাতের আম সংগ্রহের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে এর মধ্যে ১০টি জাতের আম রপ্তানি করা হয়। আম পরিপক্বতার তারতম্য হয় তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণে।