রাহিবের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধানে স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে এন্ডোস্কপি করাতে গিয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনা বিশদ অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্বাধীন কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্যসচিবসহ তিন বিবাদীর প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। কমিটিতে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাখতে বলা হয়েছে। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

চিকিৎসায় অবহেলায় রাহিব রেজার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে—এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে রাহিবের (৩১) পরিবারের তিন সদস্য ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম। রিটের পক্ষে এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আখতার ইমাম ও আইনজীবী রেশাদ ইমাম উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান। এ ছাড়া শুনানির সময় রাহিবের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষায়িত বোর্ড গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। রাহিব রেজার মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পরে আইনজীবী রাশনা ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এন্ডোস্কপি করতে রাহিব রেজা ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। তাঁর এন্ডোস্কপি করার চিকিৎসক ছিলেন মামুন আল মাহতাব। এন্ডোস্কপি করার পরপরই অ্যানেসথেসিয়ার কারণে তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কারণ, পালস, হার্টবিট, অক্সিজেন কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। আইসিইউতে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী, বাবা, বোন ও দুই বছরের এক কন্যাসন্তান আছে। রুটিন এন্ডোস্কপি করতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটে যে পরিবারের সদস্যরা রিটটি করেন। রাহিব একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।