আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় আনন্দ পাল, নজরুল ও উত্তম পলাতক। জামিনে আছেন নাহিদা, উত্তম মজুমদার, জাকির ও আনন্দ পাল। বাকিরা কারাগারে আছেন।

এ ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তাঁদের কাছ থেকে ৫১ ভরি ৬ রতি সোনা, ১৫ লাখ টাকা ও ১টি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। পরদিন এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান। সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুণ ঘোষ (৪৮) ৯৮ ভরি ওজনের ৮টি সোনার বার নিয়ে মোটরসাইকেলে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্যে ছিল সেখানকার সোনার দোকানে বিভিন্ন গয়না তৈরি করা।

কিন্তু তাঁতীবাজারে গিয়ে দোকান বন্ধ পান, ফলে বারগুলো নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার-সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতালের গলির রাস্তায় পৌঁছালে ডাকাত চক্রের সদস্যরা পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে বরুণের কাছে অবৈধ মালামাল আছে জানিয়ে তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন।

পুলিশ জানায়, ডাকাতেরা বরুণকে গাড়িতে তুলেই তাঁর চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন এবং মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁর কাছে থাকা সোনার বার, সোনা চালানের কাগজপত্র ও তিন হাজার টাকা কেড়ে নেন তাঁরা।

এরপর বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল এলাকার ফাঁকা স্থানে গিয়ে মাইক্রোবাস থেকে বরুণকে নামিয়ে দিয়ে ডাকাতেরা পালিয়ে যান। বরুণ বিষয়টি তাৎক্ষণিক মুঠোফোনে দোকানমালিককে জানান। পরে ৩ সেপ্টেম্বর দোকানের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

এসআই অলক কুমার দে আজ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন। অবশ্য পরে তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, জোরপূর্বক তাঁর কাছ থেকে পুলিশ স্বীকারোক্তি নিয়েছে। আসামি কামরুজ্জামানের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৩৬ ভরি সোনা উদ্ধার দেখায় পুলিশ।