দেশের নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: মহিলা পরিষদের বিবৃতি
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, নারী ও কন্যাশিশুরা চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটেই চলেছে। এর মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচারব্যবস্থা ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু যৌথভাবে এ বিবৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিশ্বাস করে, নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। এ দেশের প্রত্যেক নারী যেন নিরাপদে নিজের ঘরে, রাস্তায় ও কর্মক্ষেত্রে—সর্বত্র মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের ওপর আঘাত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, সামগ্রিকভাবে নারীর জীবনের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকারের ওপর চরম আঘাত। ঘরে অবস্থান করেও নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন, তবে তা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নাগরিক নিরাপত্তার গুরুতর সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। এ ছাড়া একে অপরের প্রতি দোষারোপ করে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টিকে হালকা করে দেখার মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দ্রুত এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও মানসিক সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। একই সঙ্গে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানায়।