গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন উদ্‌যাপনে ইয়ামাহার অনন্য উদ্যোগ

অন্যান্যদের সঙ্গে কেক কেটে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস।ছবি–ইয়ামাহা বাংলাদেশ

একটি পণ্য কেনার পর সাধারণত বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ পর্যন্তই ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার সম্পর্ক থাকে। পণ্য বিক্রির পর সচরাচর কোনো ব্র্যান্ড তার গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ চলমান রাখে না। কিন্তু ব্যতিক্রম উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবদ্ধন উদ্‌যাপনে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ামাহা বাংলাদেশ’।

আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে ইয়ামাহা বাইক রাইডারদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কার্যক্রমটির নাম ‘ইয়ামাহা রেভিং দ্য লিগ্যাসি’। এর মাধ্যমে পুরোনো ক্রেতাদের মধ্যে যাঁরা ইয়ামাহা বাইক এক লাখ কিলোমিটারের বেশি রাইড করেছেন, তাঁদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ১ লাখ ৩০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া এমনই একজন বিশ্বস্ত গ্রাহককে সঙ্গে নিয়ে উদ্‌যাপন করেছে ইয়ামাহা। গ্রাহক জাকির হাসান, পেশায় একজন চিকিৎসক। জীবনের যেকোনো অর্জনে পাড়ি দিতে হয় অনেক পথ। তবে কত পথ পাড়ি দেওয়া হয়েছে, সেটা সেভাবে হয়তো মনে রাখা সম্ভব হয় না। কিন্তু জাকির মনে রেখেছেন। আর এটি সম্ভব হয়েছে ‘ইয়ামাহা এফজেডএস ভি টু’ বাইকের কল্যাণে। কারণ, এতটা পথ পাড়ি দিতে তাঁর সঙ্গী ছিল বাইকটি।

ইয়ামাহার চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জাকিরকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও উপহার। ৩০ মিনিটে গ্রাহকসেবা, বাংলাদেশে প্রথম ‘এফআই ক্লিনার’ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি গ্রাহকদের সম্পৃক্ত করতে এই উদ্যোগ বাংলাদেশে যেকোনো ব্র্যান্ডের মধ্যে প্রথম এবং অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সংবর্ধনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানীর মিরপুরের জাকির হাসানের বাসার নিচে গিয়ে নাটকীয়ভাবে ইয়ামাহার পক্ষ থেকে তাঁকে ফোন দেওয়া হয়। জাকির ভাবতেই পারেননি, কী চমক অপেক্ষা করছে। বাসার নিচে যখনই নামলেন, সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩০ জনের বেশি ইয়ামাহা রাইডার উল্লাস-ধ্বনির মাধ্যমে জাকিরকে শুভেচ্ছা জানান। এই ‘সারপ্রাইজ’ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জাকির হাসান। এরপর জাকিরকে নিয়ে কেক কাটেন উপস্থিত সবাই।

ইয়ামাহা রাইডারদের সঙ্গে বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস
ছবি–ইয়ামাহা বাংলাদেশ

ব্যতিক্রমী এই সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন এসিআই মোটরস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস। একজন কাস্টমারকে ধন্যবাদ জানাতে কোম্পানির উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তার এগিয়ে আসাটা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সত্যিই খুব বিরল। সঙ্গে ছিলেন ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের সদস্যরা। ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাইকিং কমিউনিটি, যারা বাইক নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে। দেশব্যাপী ১০ হাজারের বেশি নিবন্ধিত সদস্য রয়েছেন ক্লাবটির। ইয়ামাহা বাংলাদেশও তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে।
১ লাখ ৩০ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছেন অথচ বাইকটি দেখে তা মনেই হচ্ছিল না। এ প্রসঙ্গে জাকির বলেন, বাইকটি তাঁর পরিবারের সদস্য। তাই পরিবারের অন্য সদস্যের মতো বাইকের প্রতিও তিনি বিশেষ যত্ন নেন।

আয়োজনটি শেষ হয় ইয়ামাহার পক্ষ থেকে জাকিরের প্রতি শুভকামনা আর নিরাপদ বাইক চালানোর পরামর্শের মাধ্যমে।

ইয়ামাহার ব্যতিক্রমধর্মী এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগেই সারপ্রাইজ দেওয়া হয় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ইয়ামাহার একজন গ্রাহককে। একইভাবে ইয়ামাহা দেশের বিভিন্ন স্থানের এক লাখ কিলোমিটার চালানো বাইকারদের কাছেও যাবে। তুলে ধরবে তাঁদের এ অর্জন ও অভিজ্ঞতা, সঙ্গে হবে উদ্‌যাপন।
ইয়ামাহার এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালোবাসা এবং ব্র্যান্ডের প্রতি বিশ্বস্ততা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।