রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যখন বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ে, তার ৫-৭ মিনিট পর সেখানে যান আবুল কালাম আজাদ। কারণ, তাঁর মেয়ে মুনতাহা তোয়া সেখানকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
এই বাবা বলেন, তখন ফায়ার সার্ভিসও আসেনি। তবে সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সেনাবাহিনীকে টপকে এগিয়ে যান তিনি। গিয়ে দেখেন ১০-১৫টি লাশ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে আছে। সবগুলো ক্ষতবিক্ষত।
সেখানে দেড় ঘণ্টার মতো মেয়ের খোঁজ করেন বলে জানান আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এক পর্যায়ে একজন শিক্ষক ফোন করে জানান, তাঁর মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ কথা শোনার পর তিনি উত্তরা এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মেয়ের খোঁজ করতে থাকেন। বিকেল ৫টার দিকে তাঁর এক আত্মীয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তোয়াকে খুঁজে পায়। এরপর এখানে ছুটে আসেন তিনি।
সেখানে আজ সন্ধ্যায় আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ের দুই হাত ব্যান্ডেজ করা। মুখে ক্রিম লাগানো। তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথাও হয়েছে। মেয়ে অনেক ভয় পেয়েছে।
কথা বলতে বলতেই একটি ফোন আসে আবুল কালাম আজাদের। ফোনে তিনি বলছিলেন, যে জায়গা থেকে (তাঁর মেয়ে) ফিরে এসেছে, সে জায়গা থেকে ফিরে আসার কথা না।