রোজার আগেই হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দী নেতা-কর্মী ও আলেমদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ‘বন্দী আলেমরা বিনা দোষে কারাগারে অমানবিক কষ্টে আছেন, তাঁদের পরিবার কষ্টকর দিন অতিবাহিত করছে। আলেমদের প্রতি সদয় হোন, তাঁদের অন্যায়ভাবে আর কষ্ট দেবেন না। এতে আল্লাহ নারাজ হবেন।’
আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে হেফাজতের আমির পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এক বছর ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন রমজান সামনে রেখে আবার বাড়তে শুরু করেছে।
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, মাছ-গোশতের যে অগ্নিমূল্য, তা কেনার সাধ্য বেশির ভাগ মানুষের নেই। ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামও লাফিয়ে বাড়ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে রোজাদারদের জন্য সাহরি-ইফতারির খাবার জোগাড় করা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, মাছ-গোশতের যে অগ্নিমূল্য, তা কেনার সাধ্য বেশির ভাগ মানুষের নেই। ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামও লাফিয়ে বাড়ছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে রোজাদারদের জন্য সাহ্রি-ইফতারির খাবার জোগাড় করা অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে হেফাজতের আমির সরকার ও ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি এই বলে আহ্বান জানান, মানুষের কষ্টের কথা ভাবুন, মানবিক হোন এবং সাধারণ মানুষকে শোষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন। অতি মুনাফার চিন্তা থেকে যদি কেউ কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়ায়, সেই ব্যবসা হারাম হবে ও পরকালে জাহান্নামের কঠিন আজাব ডেকে আনবে।
রমজান মাসে প্রায় সব কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগে ছুটি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে হেফাজত আমির বলেন, রমজানের এই সময়ে তরুণ আলেম এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের দাওয়াতি কার্যক্রমের পাশাপাশি সর্বস্তরের মুসলমানদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে গণসম্পৃক্ততা ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
আলেম–ওলামা ও মাদ্রাসার ছাত্রদের উদ্দেশে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আরও বলেন, গরিব, এতিম, শ্রমিক, ছাত্র, যুবক, ব্যবসায়ীদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে সমাজে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুত করতে সচেষ্ট হতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের অভাব-অভিযোগে সাধ্যমতো সহযোগিতার চেষ্টা করবেন।
এসব কার্যক্রমের ফলে জনসাধারণ আলেমদের ইমান-আকিদা হেফাজতের পাশাপাশি আদর্শ দেশ ও সমাজ গঠনেও যোগ্য প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে সাদরে গ্রহণ করবেন বলে মন্তব্য করেন হেফাজতের আমির।