নোয়াখালীতে অবরোধের সমর্থনে মিছিল, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের গাড়ি ভাঙচুর

নোয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বেলা এগারোটার দিকে জেলা শহর মাইজদীর মফিজপ্লাজার সামনে
ছবি: প্রথম আলো।

বিএনপির ডাকা ১০ম দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে নোয়াখালীতে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর মফিজ প্লাজা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে, তবে এতে কেউ হতাহত হননি। খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হামলাকারী ব্যক্তিদের কাউকে আটক করতে পারেনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের অবরোধের সমর্থক আকস্মিক মিছিল নিয়ে নোয়াখালীর মাইজদী-সোনাপুর সড়কে আসেন। তাঁরা সড়কে চলাচলকারী সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ সময় আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, তবে হামলায় গাড়ির চালক কিংবা যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি। পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অবশ্য পুলিশ যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

নোয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ গাড়িটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নির্বাচন উপলক্ষে রিকুইজিশন করা হয়েছে। সে জন্য গাড়িটি তেল সংগ্রহ করতে সকালে পেট্রল পাম্পে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে পৌর বাজারের মফিজ প্লাজা এলাকা একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এতে গাড়ির সামনের কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে চালকের কোনো ক্ষতি হয়নি।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অবরোধের সমর্থকেরা সকালে আকস্মিকভাবে ঝটিকা মিছিল বের করে পৌর বাজার এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেন। তিনি বিষয়টি জানার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জানান, শহরে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশে মোতায়েন রয়েছে।