আনোয়ারুল হত্যা: শিমুল ভূঁইয়াসহ তিন আসামি আবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সৈয়দ আমানুল্লাহ (প্রকৃত নাম শিমুল ভূইঁয়া)ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পুনরায় পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক আজ শুক্রবার এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ (প্রকৃত নাম শিমুল ভূঁইয়া), ফয়সাল আলী ও শিলাস্তি রহমান। আনোয়ারুল আজীমকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার এই তিনজনকে আট দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আদালতে হাজির করে পুনরায় আট দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত শুক্রবার এই তিনজনের প্রত্যেকের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যান। পরদিন কলকাতার নিউ টাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে তিনি খুন হন। ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে কলকাতা পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশকে এ তথ্য জানায়। এরপর ঢাকা থেকে শিমুল ভূঁইয়াসহ এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা এবং তাঁর লাশ গুম করার ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পায় পুলিশ। তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আনোয়ারুলকে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করে ব্যাগে ভরে সরানো হয়েছে। এর কিছু অংশ কলকাতার একটি খালে ফেলা হয়েছে।

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ২২ মে তাঁর বাবাকে অপহরণ করার অভিযোগ এনে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পেল গোয়েন্দা পুলশ।

আরও পড়ুন

তদন্ত–সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, আনোয়ারুল আজীম খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শিমুল ভূঁইয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে। তিনি চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। এর আগে গণেশ নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে যশোরের অভয়নগর থানার এক মামলায় তিনি সাত বছর (১৯৯১-৯৭) জেল খাটেন। ইমান আলী নামের আরেক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেল খাটেন তিনি।