প্রান্তিক জনগণের মৌলিক অধিকার পাওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত

ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটিছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

‘সংবিধানের ৫০ বছর ও আমাদের মৌলিক অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, সংবিধানের মূল চরিত্রের জায়গায় বড় ধরনের সমঝোতা হয়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টে এখন অদ্ভুত রায় হচ্ছে। সমাজের প্রান্তিক জনগণের মৌলিক অধিকার পাওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

সভায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে এখন আরও সব অদ্ভুত রায় হচ্ছে। আপনারা চিন্তা করেন, আপিল বিভাগ রায় দেন, জরুরি অবস্থা জারি করলে সব মৌলিক অধিকারই আপাতত স্থগিত রাখা যাবে।’

শাহদীন মালিক আরও বলেন, গত দুই নির্বাচনে দেখা গেছে, আগের সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেন। তিনি মনে করেন, দেশ যেভাবে চলছে, তাতে সংবিধান বাদ দিয়ে দিলেও বোধ হয় কিছু যায়–আসে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের সংবিধানের যে মূল চরিত্র, যে উদ্দীপনা ও প্রত্যাশা থেকে সংবিধান রচিত হয়েছিল, সেই মূল চরিত্র ও প্রত্যাশার জায়গায় বড় ধরনের কম্প্রোমাইজ (সমঝোতা) হয়ে গেছে। এটা সংবিধান সংশোধনী ও চর্চার মাধ্যমে হয়েছে। সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন অনেক কিছু সংবিধানে আনা হয়েছে কোনো গণভোট ছাড়া। রাজনীতিবিদেরা নিজেরা করে দিয়েছেন, তারপর এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, মৌলিক অধিকার পাওয়ার সুযোগ প্রধানত ক্ষমতাসীন মহলের মধ্যে, কিছু ক্ষেত্রে বিত্তশালী মহলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগণের মৌলিক অধিকার পাওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শাহনাজ হুদা।