পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ
পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন।
পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আবু হানিফ হৃদয় নামের যাত্রাবাড়ীর এক বাসিন্দা গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রিটটি করেছিলেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
পরে আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল সাময়িকভাবে সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে শুনানিতে এসেছে। পরবর্তী সময় এ বিধিনিষেধ তুলেও নেওয়া হতে পারে বলে আদালত বলেছেন। কোন সড়কে কোন গাড়ি চলবে, সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন অনেক সড়কে ভ্যানগাড়ি, রিকশা যেতে দেওয়া হয় না, যা সরকারের একধরনের নীতি। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানান আদালত। এরপর রিটটি ফেরত নেওয়ার কথা জানানো হয়। পরে আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দেন।
গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।
পরদিন এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন ২০২২ (সোমবার) সকাল ছয়টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
গণবিজ্ঞপ্তি নিয়েই রিটটি করা হয়েছিল। পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ কেন বেআইনি হবে না, সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় এ বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ হয়েছে। ফলে সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল আপাতত চলাচল করতে পারবে না।