‘কম্বলডা পাইয়ে ভালো হলো’

প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে হাসি ফুটে ওঠে এক নারীর মুখে। আজ বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

শেফালী বেগমের স্বামী নেই। চার ছেলেমেয়ে নিয়ে তাঁর অভাবের সংসার। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চলে শেফালীর। এবারের শীতে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিন কেটেছে তাঁদের। তবে আজ রোববার সকালে প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে তিনি বেজায় খুশি।

শেফালী বেগমের মতো অসহায় ২০০ মানুষকে আজ প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সৌজন্যে কম্বল দেওয়া হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া গ্রামে ও বিকেলে প্রথম আলোর যশোর কার্যালয় চত্বরে কম্বল বিতরণ করা হয়।

কম্বল পেয়ে শেফালী বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন। বাসাবাড়িতে কাজ করে চারটি সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে। শীতে ছেলেমেয়েগুলো রাতে অনেক কষ্ট পায়। এই কম্বলডা দিয়ে এখন শীত কিছুটা নিবারণ করতে পারবানে।’

উপশহর এলাকার আনিছুর রহমান পেঁয়াজু–বেগুনি বিক্রি করে সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা ভালো নয়। বেচাবিক্রি কমে গেছে। শীতে একটা কম্বলও কিনতে পারিনি। কম্বলডা পাইয়ে ভালো হলো।’

কম্বল পেয়ে আড়পাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব স্বরূপজান বলেন, ‘আমার সাত ছেলেমেয়ে। এর মধ্যে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। শীতে নাতি-নাতনিরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। তাদের কোনো কাঁথা–কাপড় কিনে দিতে পারিনি। ভাবতেছি, কম্বলডা এক নাতিরে দিব।’

২০০ মানুষকে আজ প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সৌজন্যে কম্বল দেওয়া হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল কাসেম, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, যশোর বন্ধুসভার উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দ্র গোস্বামী, যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন রেজা প্রমুখ।

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।