ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ফাইল ছবি

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৮টি মামলা হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া ১৮ জন কর্মচারী ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে আজ সোমবার পৃথক মামলা করেন। আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের আগে যাঁরা কর্মে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৮ জন আজ শ্রম আদালতে মামলা করেছেন। আদালত সমন দিয়েছেন। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানান আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন।

আরও পড়ুন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

এর আগে ২২ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের আরেক মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম সেদিন সাক্ষ্য দেন। মামলায় অপর তিন বিবাদী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন

ড. ইউনূসের আপিল আবেদন খারিজ, মামলা চলবে

এদিকে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।