শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ জানিয়ে তাঁরা বলেন, নিয়মনীতি না মেনেই সীতাকুণ্ডে শত শত শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। সরকারি যেসব সংস্থার গাফিলতির কারণে এবং নিয়মিত তদারকির অভাবে কারখানাগুলো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক মৃত্যু এবং কয়েক শ আহতের মর্মান্তিক ঘটনার দগদগে স্মৃতি এখনো দেশের মানুষের মনে জ্বলজ্বল করছে। স্বজন হারানোর কান্না এখনো থামেনি। এ ঘটনার ৯ মাসের মাথায় ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। সাতজন হতভাগ্য মানুষের মৃত্যু হয় এ ঘটনায়।
অশোক সাহা ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আগের ঘটনার রেশ না কাটতেই শনিবার সীতাকুণ্ডে একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ৯ মার্চ তাহের শিপইয়ার্ডে আগুনে পুড়ে এক শ্রমিক মারা যান। এসব ঘটনা গণমাধ্যমের কল্যাণে আলোচনায় এসেছে, কিন্তু সীতাকুণ্ডে এখন এমন দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়, যার অধিকাংশই সামনে আসে না।
সীতাকুণ্ডের কারখানাগুলোতে অনিরাপদ পরিবেশে লাখো শ্রমিক কাজ করছেন জানিয়ে সিপিবি নেতারা বলেন, দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। জাহাজ ভাঙার কারখানায় শ্রমিকের মৃত্যু যেন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনার বিচার হতে হবে।