‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁয় খাদ্যে রাসায়নিক, খালি হাতে কাজ করছিলেন কর্মীরা
রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল বাদামের শরবত। শরবত তৈরি করা রেস্তোরাঁকর্মীদের হাতে নেই গ্লাভস, মাস্ক কিংবা কোনো স্বাস্থ্যনিরাপত্তা সামগ্রী। খালি হাতেই এক পাত্র থেকে আরেক পাত্রে শরবত ঢালছিলেন তাঁরা। আবার বিভিন্ন রান্নাঘরে মেশানো হচ্ছিল কেওড়া জল এবং ক্ষতিকর ও অনুমোদনহীন রাসায়নিক। চট্টগ্রাম নগরের পরিচিত রেস্তোরাঁয় এমন চিত্র দেখে অবাক হন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার নগরের ওয়াসা মোড়ের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আবদুস সোবহান। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও অনুমোদনহীন রাসায়নিক ব্যবহারের অপরাধে রেস্তোরাঁটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, রেস্তোরাঁর রান্নাঘর দেখতে চাইলে তাঁরা কর্মকর্তাদের প্রবেশ করতে দেননি। ১৫-২০ মিনিট পর তাঁরা রান্নাঘরে ঢুকতে দেন। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা রান্নাঘর পরিষ্কার করেন। পরে রান্নাঘরে প্রবেশ করে খালি হাতে বাদামের শরবত তৈরি করতে দেখেন কর্মকর্তারা। তাঁদের আগে সতর্ক করা হলেও তাঁরা নির্দেশনা অমান্য করেন।
চট্টগ্রাম নগরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে খালি হাতে শরবত তৈরি করতে দেখা গেছে, যা পুরোপুরি অস্বাস্থ্যকর। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও অনুমোদনহীন রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছিল খাবারে। তাই রেস্তোরাঁটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই অভিযানে নগরে চান্দগাঁও এলাকার ইউম্যাক্স বেকারি ও সায়েম বেকারি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বেকারিগুলোতে মাটিতে খাদ্যদ্রব্য ছড়িয়ে–ছিটিয়ে ছিল। অন্যদিকে রেস্তোরাঁয় রান্নাঘরের পরিবেশের বিষয়ে চকবাজারের কাচ্চি ডাইন, চিটাগাং বেকারি ও চান্দগাঁও এলাকার শাহ আমানত ফুড প্রোডাক্টসকে সতর্ক করা হয়। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন নগরের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ইয়াছিনুল হক চৌধুরী, কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা।