সবার আগে পরিবারে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়াছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের সমাজে “নারী” শব্দটিকে আপেক্ষিকভাবে উচ্চারণ করা হয়। সবার আগে ভাবতে হবে যে আমাদের পরিবারগুলোতে নারী অধিকারের চর্চা হচ্ছে কি না। নিজের অধিকারের জন্য নিজের অবস্থা নিজে তৈরি করে নিতে হবে।’

শামীমা আক্তার আরও বলেন, ‘নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি নাগরিক হিসেবে আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে হবে।’

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশি জার্নালিস্টস ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল।

বিজেআইএম কো-ফাউন্ডার মুহাম্মদ আলী মাজেদের প্রযোজনায় এবং সদস্য আবির আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম ও রুমিন ফারহানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, উন্নয়ন গবেষক ও অধিকারকর্মী মাহা মির্জা এবং ঋষি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কনকা দাস।

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিজেআইএমের আহ্বায়ক স্যাম জাহান ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ক্যাটি ক্রো। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর হেড অব ক্রাইম রিপোর্টিং রোজিনা ইসলাম।

আলোচনা সভায় ঋষি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কনকা দাস তাঁদের জীবনসংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঋষি সম্প্রদায়ের হওয়ায় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হতে হয়। চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে বা স্কুলেও অবহেলার শিকার হতে হয়। এমনকি নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে নারীরা স্বাধীনভাবে চলতে পারে না।’

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমরা একটি অদ্ভুত সমাজে ঢুকে গেছি। একজন নারী উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত সবার যুদ্ধের ময়দানটা এক। শুধু পুরুষ নয়, নারীরা আজ নারীদের দ্বারা বুলিংয়ের শিকার।’

সামিনা লুৎফা বলেন, ‘গ্রাম ও শহরের বৈষম্যের ধরন ভিন্ন। গ্রামের কৃষিজীবী নারীরা সবচেয়ে বেশি শ্রম শোষণের শিকার। তাদের কাজকে অর্থনৈতিক কাজ হিসেবে স্বীকারই করা হয় না।’

উন্নয়ন গবেষক ও অধিকারকর্মী মাহা মির্জা বলেন, ‘নিপীড়নমূলক সমাজে নারী-পুরুষ কারও অধিকার থাকে না। শ্রমজীবীরা আরও বিপাকে। যখন আমরা উন্নয়ন উন্নয়ন করছি, তখন বাল্যবিবাহে বাংলাদেশ ৩ অথবা ৪ নম্বরে।’