জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গান, কবিতা, নৃত্যে শরৎ উদ্‌যাপন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শরৎ ঋতুর উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেন। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ছবি: প্রথম আলো

শরতের আলোকচ্ছটা ও কোমলতায় ছেয়ে যাক প্রতিটি হৃদয়। শরৎ ঋতুর আগমন উদ্‌যাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে ‘শরৎ আলোর কমল বনে’ শীর্ষক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের গীতাঞ্জলি মঞ্চে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেন। তিনি সাতটি গান পরিবেশন করেন। এসব গানের মধ্যে আধুনিক, সাংস্কৃতিক, মৌলিক ও কীর্তন ছিল। তিনি ‘শাওনও রাতে যদি’, ‘কেন বাজাও বাঁশি’, ‘ভুলি কেমনে’, ‘এই কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়’ গান পরিবেশন করেন। সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নানা ধরনের নৃত্য, গান, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল। এসব গান দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।

সংগীতশিল্পী ও বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায় বলেন, ‘আমাদের গান, আমাদের সুর, আমাদের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, এই সকল নিয়ে আমরা যখন একত্রিত হব, তখন আমাদের সব নেতিবাচক দিকগুলো দূর হয়ে যাবে। সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শুভশক্তির উদয় সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। তিনি বলেন, শরৎ ঋতুর একটি বিশেষ স্বাতন্ত্র্য ও শুভ্রতা রয়েছে। এ ধরনের অভিনব ও উদ্ভাবনী অনুষ্ঠান আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি সংগীত বিভাগকে এমন সৃজনশীল আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমীন বলেন, ‘স্বল্প সামর্থ্য দিয়ে অসাধারণ, রুচিশীল, মানসম্পন্ন সৌন্দর্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে, এই অনুষ্ঠান তারই প্রমাণ। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সব সময়ই সৃজনশীলতায় পারদর্শী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যেন শরতের মতোই প্রশান্তিময় হয়, সেই কামনা করছি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম। সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অণিমা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুমুর আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।