পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি শ্রমিক অধিকার পরিষদের

পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে শ্রমিক অধিকার পরিষদ
ছবি: প্রথম আলো

পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছে শ্রমিক অধিকার পরিষদ। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সম্প্রতি পোশাকশ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা প্রত্যাখ্যান করা হয়। পাশাপাশি শ্রমিক হত্যা বন্ধ ও গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক (নুরুল হকের অনুসারী) রাশেদ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘১২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তোমরা ঘরে ফিরে যাও, গার্মেন্টসে যাও।’ তাঁর কথা শুনে মনে হয়েছে, তিনি শ্রমিকদের একধরনের হুমকি দিচ্ছেন। যে শ্রমিকের ভ্যাট, ট্যাক্স ও ঘামের টাকায় এ রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত–নিপীড়িত।

রাশেদ খান আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য যেভাবে একের পর এক বেড়েই চলেছে, ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে শ্রমিকেরা খাবেন কী, সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন কীভাবে, প্রধানমন্ত্রী কি এটা বোঝেন না? প্রধানমন্ত্রীর তো কোনো অভাব নেই। কারণ, তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী ব্যক্তি। কিন্তু যাঁরা শ্রমিক, যাঁরা কৃষক-দিনমজুর, তাঁরা তো চলতে পারছেন না। বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের ঋণ করতে হচ্ছে।

এ সময় শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক লুটের সঙ্গে রাঘব–বোয়ালেরা জড়িত। তাদের ধরতে পুলিশের কোনো ইউনিট না থাকলেও শ্রমিকদের মারার জন্য, শ্রমিকদের ঠেকানোর জন্য পুলিশের একটা বিশেষ ইউনিট রয়েছে। তারা মালিকের ভাড়াটে হিসেবে কাজ করে। সেটা হচ্ছে পুলিশের শিল্প ইউনিট।

আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘যদি সত্যিকার অর্থে শিল্প রক্ষার জন্য এই ইউনিট করে থাকেন, তাহলে শ্রমিকদের রক্ষা করাও আপনাদের দায়িত্ব। শ্রমিকেরা শিল্পের বাইরে না। তাঁরা এ শিল্পেরই অংশ। শিল্প রক্ষার নামে শ্রমিক হত্যা না করে উচিত ছিল শ্রমিকদের কীভাবে বাঁচানো যায়, সেটা করা।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।