রামনাথ বিশ্বাসের বসতবাড়ি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের

বাঙালি ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস

ভূপর্যটক ও ভ্রমণকাহিনি লেখক রামনাথ বিশ্বাসের বসতবাড়ি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে। বাড়িটির সবটুকু জমি সরকারি খাস খতিয়ানে রয়েছে। তাই বাড়িসহ রামনাথ বিশ্বাসের স্মৃতি রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন দেশের ১০০ নাগরিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, রামনাথ বিশ্বাসের বসতবাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায়। সেটি দখলে রেখেছেন আবদুল ওয়াহেদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি। একসময় জামায়াত-বিএনপি করতেন তিনি। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি হন। রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দেখতে যাওয়া পর্যটক, বাইসাইকেল রাইডার ও সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছেন তিনি।

হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার পর আবদুল ওয়াহেদকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । তবে এটা বড় কোনো সমাধান নয়। রামনাথ বিশ্বাসের বসতবাড়ি দখলমুক্ত করতে হবে। ওই বাড়ির প্রায় পাঁচ একর জমির সবটুকুই সরকারি খাস খতিয়ানে রয়েছে। সরকারই ওই জমির মালিক। তাই রামনাথ বিশ্বাসের স্মৃতি রক্ষার দায়িত্বও সরকারের।

বিবৃতিতে দেওয়া তথ্য বলছে, রামনাথ বিশ্বাসের জন্ম ১৮৯৪ সালে। তিনি নিজ গ্রাম বানিয়াচংয়ে বসবাস করতে চেয়েছিলেন। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কলকাতায় চলে যেতে বাধ্য হন। সেখানেই ১৯৫৫ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। কলকাতায় তাঁর নামে একটি সড়ক রয়েছে। তাঁর ভ্রমণবিষয়ক ৪০টির মতো বই রয়েছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা ১০০ নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, নাট্যব্যক্তিত্ব মলয় ভৌমিক, অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার, লেখক ও গবেষক সাইমন জাকারিয়া, সংস্কৃতিকর্মী সৈয়দা রত্না, নাট্যব্যক্তিত্ব রতন সিদ্দিকী, কবি আলফ্রেড খোকন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক ও নাট্যকর্মী সামিনা লুৎফা, সাংবাদিক গাজী নাসিরুদ্দিন আহমেদ, রাজনীতিক ও মানবাধিকারকর্মী দীপায়ন খীসা, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন প্রমুখ।