ডেঙ্গুতে ২৩ দিনে ৫০ জনের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ডেঙ্গুতে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। চলতি মাসের ২৩ দিনে এডিস মশাবাহিত এই রোগে ৫০ জনের মৃত্যু হলো।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে একজন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৬ জন ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সর্বোচ্চ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭০ জন ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১৬৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৪৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২১, খুলনা বিভাগে ৮৫, বরিশাল বিভাগে ৫৫, রাজশাহী বিভাগে ৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬, রংপুর বিভাগের ১৮ ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ হাজার ৯০০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে। উত্তর সিটিতে এ সংখ্যা ১৭। দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ৪, চট্টগ্রামে ১৮, বরিশালে ১৩, খুলনায় ৫, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ১ জন করে মোট ২ জনের। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী ও ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ।
ডেঙ্গুতে গত আগস্ট মাসে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১৪, ফেব্রুয়ারিতে ৩, মার্চে ৫, এপ্রিলে ২, মে মাসে ১২, জুনে ৮ ও জুলাইয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। এ সময় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ২১ হাজার ৮১ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮০৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। এ সময় মারা যান ৮৫৩ জন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।