পটিয়ায় আনারস প্রতীকের সমর্থক দুই যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

ছবি সংগৃহীত

নির্বাচন চলাকালে পটিয়ায় কুপিয়ে জখম করা হয়েছে দুই যুবলীগ নেতাকে। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে পটিয়া হাইদাগাঁও চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম পক্ষের অনুসারীরা এ দুজনকে জখম করেন বলে অভিযোগ। এ কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল কেন্দ্রটিতে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত ও ওয়াসিম। দুজনই আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

চেয়ারম্যান পদে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী হলেন যুবলীগের নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম। অপর দিকে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন হারুনুর রশিদ। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভোটকেন্দ্রের বাইরে দোয়াত-কলম ও আনারসের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

জানতে চাইলে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, বেলা দেড়টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে মারামারি হয়। এ সময় ২০ মিনিটের বেশি ভোট বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর আবার ভোট শুরু হয়।

অভিযোগে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে সকাল থেকে দোয়াত-কলমের পক্ষে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ নিয়ে আনারস প্রতীকের অনুসারীদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। কিন্তু বেলা দেড়টার দিকে অতর্কিত হামলা হয় আনারস প্রতীকের অনুসারী ফয়সাল ও ওয়াসিমের ওপর। তাঁদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। দুজনের মাথা ফেটে যায়।

এ ঘটনার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তারের সময় দোয়াত-কলম প্রতীকের দুজনকে হাতেনাতে আটক করেন। তাঁরা হলেন মো. ফরিদ মিয়া ও নুরুল আবছার। দুজনকে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, দুজনই ভোটে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন। সে জন্য তাঁদের জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া সকালে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের পর কেন্দ্রটি বাতিল করা হয়। এর বাইরে ছালেহনূর কলেজ কেন্দ্র, হিলিসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালিয়াইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রগুলোতে কিছু জাল ভোটের অভিযোগ পাওয়া যায়।