আসামি মনিরুজ্জামানের জামিন স্থগিতই থাকছে

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যা মামলার আসামি মনিরুজ্জামান মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতই থাকছে। মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন কারাবন্দী মো. মনিরুজ্জামান। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মনিরুজ্জামানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা ২৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি এদিন শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনিরুজ্জামানকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিতই থাকছে। তাঁকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন এবার আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে মনিরুজ্জামান কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’

আরও পড়ুন

এর আগে ওই মামলার প্রধান আসামি কারাবন্দী সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে ১৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

গোলাম রব্বানি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তিনি। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় নিহত রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাহমুদুল আলমকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামিসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন